মৌন মুখর – দীপঙ্কর সরকার
রাতের আকাশে খেলে স্তব্ধতা একসব পাখি ফিরে আসে নীড়ে । নদীজলও শান্ত মনে হয় ঝির ঝিরেবাতাস যেন খুশির বার্তা বয়ে আনে ।ঘাসে ঘাসে শিহরিত আলোর রোশনাইপাতায় পাতায় জমে শিশিরের ঘ্রাণ…
রাতের আকাশে খেলে স্তব্ধতা একসব পাখি ফিরে আসে নীড়ে । নদীজলও শান্ত মনে হয় ঝির ঝিরেবাতাস যেন খুশির বার্তা বয়ে আনে ।ঘাসে ঘাসে শিহরিত আলোর রোশনাইপাতায় পাতায় জমে শিশিরের ঘ্রাণ…
অন্ধকারের দরজা ভেদ করে আলো আসছে মহতী পাঁজরের দাঁড়েবিক্ষুব্ধ জিজ্ঞাসায় আত্মঘাতী আমাদের আঁধার যাপন অন্ধকার সূর্যে গুণে রাখি বাসর মুহূর্ত। ফেলে আসি নির্বেদ ভাবনাগুলো হৃষিকেশ স্বপ্নগুলো ভাঙে প্রতিদিন হড়পা বানে…
একদিন আমি যখন থাকব নাসে দিন তুমি বুঝবেআকাশে বাতাসে সোনালী রোদের আলোয়খুঁজবে সেই দিন খুঁজবে।ভোরের বেলায় নরম ঘাসের আগায়শিশিরের হীরের বিন্দুতেখুঁজবে তুমি সাগরের ফেনায়ঝিনুকের ভিতর মুক্তিতে।শঙ্খচিলের শেষ রৌদ্রেরসোনালী সুন্দর ডানায়কখনো…
চোখ মেলে, আর প্রাণভরে ,দিগন্তরেখার দিকে তাকাও!দেখতে পাবে ,আকাশটা মিশে গেছেতোমার চেনা কোন প্রান্তে।এবার মনে করো ,এটাই তোমার ছোট্ট পৃথিবী!ভেবে দেখো সুখ-দুঃখ ,চাওয়া না পাওয়ার, সীমা আর নেই।তুমি হয়ে উঠলে…
শঙ্খ ঘোষ স্মরণেতৈলাক্ত দেওয়ালে যে টিকটিকিটা বারবার উঠতে গিয়ে পিছলে পড়ছেসে কিন্তু লড়াই ছাড়েনিমুষ্টিবদ্ধ যে হাতগুলো আক্রোশে শূণ্যে ঘুসি চালাচ্ছেসে শিরদাঁড়া সোজা করে লড়াই জিততে চায়তোমার ছড়ানো মুঠো মুঠো অক্ষরদিয়েছে…
বৃষ্টি এসেছিল,ভিজিয়ে দিয়ে গেছে আমার সর্বশরীর।ধুয়ে মুছে সাফ করে গেছে—ভিতরের যতসব গ্লানি, ক্ষতগুলোকে।যত কষ্ট, অভিমান জুড়ে ছিল মন;সেইসব একেবারে স্বচ্ছ কাঁচের মতপরিষ্কার হয়ে গেছে।পবিত্র গঙ্গা জলের মতো—সব পাপ থেকে আজ…
তোমার কথা মনে পড়লে, আমি অনেক দিন বোবা হয়ে থাকি। কারো সঙ্গে কথা বলি না। যেনো জন্ম থেকে তীব্র একাকীত্ব আমার। তুমি উপহাস করেছো, আমি প্রতিবাদ করিনি। বালিশে মুখ গুঁজে…
চেতনের ঘোর লাগা সন্ধ্যা থেকে নেমে আসছে,অসাড় অনুভূতিরা সারে সারে দাঁড়িয়ে,বাঁচার আকুতিটুকু ফুসফুসে ভরে নিতে,পিশাচের অট্টহাসি একবিংশের হৃদয়ে,ধ্যস্ত, ত্রস্ত করতে এগিয়ে আসছে….কন্টক খচিত,সিলিন্ডার উপুড় করেও অমিল প্রাণবায়ু,সভ্যতার সঙ্কট জড়িয়ে নিয়েছে…
এখানে অবসর ঘিরে রাখে না সময়ব্যস্ততা বারোমাস মেখে থাকে নদীর মতোশৈশবের দল বেড়ে ওঠে ব্যর্থ বিকেলের ভেজাঘাসের ময়দানব দেখার জন্য ।শৈশবের অবসর ভাঙে বাঁধনছাড়া বেড়াজালেপাবজি কিংবা পাজি মুহূর্তের পিছু নেয়…
বহুদিন পর কী একটা কাজে হঠাৎ একদিন আমাদের সেই পুরাতন হাইস্কুলের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম একা, ওখানে মেট্রিক পাশ করেছি সুনামে, দামে কিন্তু হেরে গেছি ট্যাঁকের মাশুলে তবু ভুলে স্কুলকেই অলক্ষ্যে…