ঋতুপর্ণ দত্ত
কবিতা ১: প্রেমিকার থ্রোটে মদ
স্মৃতিরা বাদে সুন্দর নয় কিছু,
ছোটবেলা শুনে দুপুরের রোদ খেলে।
ভোলা অন্যায়, ছেলেবেলা শুধু আমার।
এখন তো কোলে বড় বেলা খেলা করে।
বড় হতে হতে হারিয়ে যাচ্ছে হাওয়া।
বৈশাখী বলে উৎস ভুললে হবে?
মৌসুমীর অন্য দেশে বওয়া।
প্রেমিকার চুল দুলে উঠেছিল কবে?
দুলে তো ওঠেনি স্মৃতিরাই তাই দুলছে।
ভুলে বেড়াচ্ছে বর্তমানের ক্ষত।
কঠিনই তো ছিল কচি আম গাছ চেনা।
ছেলেটির হাসি হুবহু বাবার মত।
বর্তমানটা খারাপ বলছি তা নয়!
চাপের বিষয়, চাকরিটা মেলা ভার।
বড় হয়ে আমি দায়িত্ব বলিনি এরাই!
বেদনারা তাই নিমেষে ছড়ায় জাল..
দৌড়াবো বলে আগেও ছুটেছি কত।
তফাৎ শুধু পুলকার – টানা রিকশায়।
কাঁটাতার হলে আগের মতোই ক্ষত।
ভালোবাসা হলে হাত মেলাবো জিগ্সো।
ছোটো ছোটো পায়ে স্কুল বাসগুলো থামতো।
খুঁজে বেড়ালেই পাওয়া যায় বুঝি সবটা?
তোকে চিঠি দিলে নাতিশীতোষ্ণ ঘামতো।
প্রেমিকার থ্রোটে দেবানন্দ হলো মদটা।।
কবিতা ২: শুঁয়োপোকা
কান্না সেরে উঠতে হবে..
চোখের জল মুছতে হবে..
একাই বিশেষ একলা থেকে পথ সাজানো ভালো..
গভীর চোখে মানতে হবে আঁখিরে সব কালো।
তোমার আলো হাতগুলো সব আঁকড়ে ধরে থাকে..
রাত পোহালে সেই কষ্ট চেপে ধরল যাকে..
তাঁরও মনে তারটি ছাড়া .. শূন্য হল বিশাল পাড়া..
ভেতরে সেও নিজের জন্য জোনাকি চেয়ে থাকে..
অন্য লোকের কষ্ট হলে শুঁয়োপোকা দিও তাঁকে।
কান্না সেরে উঠতে হবে..
চোখের জল মুছতে হবে..
যন্ত্রণা আর অনিশ্চতায় ভেতর কেঁপে ওঠে,
কল্পনারা দীর্ঘ হলেও, ইচ্ছেরা আর ছোটে?
এমনই এক রাতের পিঠে, তোমার হাতের বায়ু,
পরপ্রভাতের সূর্য মেখে, শিথিল হল স্নায়ু।
কান্না সেরে উঠতে হবে..
চোখের জল মুছতে হবে।।
