Alekh

ফুটপাথ 

এই ফুটপাথ জানে অনেক কিছুই।
দেখা আর তাকানোর মধ্যেও যে একটা ফারাক আছে।
সামান্য বাতাস সুগন্ধে উথলে উঠলে ফুটপাথ টের পায়।
এক আশ্চর্য অলকাপুরীর দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে আমায়।
সে পুরী আমি দেখিনি, সে অলিন্দ আমি ছুঁয়ে দেখিনি কোনদিন।
হয়ত এই ঘেরাটোপে ফেঁসে যাওয়া রাস্তাটার নিচেই আছে।
হয়ত যে গাছটা অনেকগুলো সিগারেটের ধূম শুষে নিয়েছে;
সেই গাছের বুক বরাবর নেমে যাওয়া যায় সেইখানে।
অনেক ধুলোর সমুদ্র আছড়ে পরে আজকাল।
ফুটপাথ জানে সব, ও জানে কোন পথে চলে গেছে –
নাভি থেকে মস্তিষ্ক অবধি মেরামত-অযোগ্য কৃষ্ণগলি।
ফুটপাথ জানে না ক্রমশ অঙ্গার হতে হতে আমি;
জঙ্গলের দিকে সরে যাচ্ছি রোজ সামান্য করে হলেও।

সালতামামি

‘কাজ আছে’ বলে তোমায় না জানিয়েই চলে গেলাম।
আমার ঠিকানা আপাতত মায়াসভ্যতার সিঁড়িতে,
আগামী বসন্তে আমার খোঁজে এখানে এলে দেখতে পাবে –
কিছু গুহ্যবল্লরীর খাঁজে কিছু ভালোবাসা সঞ্চয়ে রেখে –
ফের চলে গেছি। ফের হয়ত কোন ঈশ্বরীয় বার্তায় জানবে;
‘প্রচুর কাজ জমে আছে’। শেষ যেবার নরম হাত ছুঁয়ে বলেছিলাম,
‘আমার দ্বিধাগ্রস্ত যৌবনে অনির্বচনীয় মেঘ জমে থাকে’।
তুমি বিশ্বাস কর নি। তবু বলাটা আমার কর্তব্য।
চোরাগোপ্তা মার; শব্দহীন বুলডোজার; নিভৃতে আবিষ্কৃত সিন্দুক…
সব কিছুর উত্তরাধিকার নিয়ে উত্তর দেবার সময় আসছে অতি দ্রুত।
এদিকে ক্যালেন্ডারে মাস-বছরের হিসেবনিকেশ তুমি রাখতেই পারো,
তবে যোদ্ধা হিসেবে আমি ধরা পড়তে রাজী হলাম না।

By Alekh

One thought on “কবি অজিতেশ নাগের দুটি কবিতা”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *