প্রিয়তি
প্রিয়তি তুমি তো ভালো করেই জানো
আমার বয়েস লুকানো প্রেম
কতোখানি আহ্লাদিত হয়
তোমার পেলব কোমল ঠোঁটের লবণাক্ততায়
অথচ শতাব্দীর দীর্ঘতম চুম্বন আজ
শতদ্রু তীরে পুরুষ্ট প্রতিরোধের সম্মুখীন
তোমার বাজারি মাস্কের মীরীয় মস্কারায়
প্রিয়তি তোমার জঙ্ঘার জংশনে
আমার আকাঙ্ক্ষার একান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন
মৃত্যুপরোয়াহীন এক
সুতীব্র সবুজ সিগন্যালের অপেক্ষায়
দূরত্বহীন স্পর্শানুভবের এই শেষ রাত
কেবল তুমিই পারো প্রিয়তি
ওপারের চিরভোর করে দিতে
তোমার আগ্ৰাসী আম্ফান আলিঙ্গনাবদ্ধতায়
সুহাসিনীর অলোকস্পর্শী শুভদৃষ্টি
নীরবতার নীল খামে বন্দি
প্রগাঢ় মর্মবেদনার যে শুকনো গোলাপকুঁড়ি
আর অনতি অতীতের
কুয়াশাকীর্ণ যে দীঘল দীর্ঘশ্বাস
বলো সাধ্য কী তার
রুখবে এই জোৎস্নাপ্লাবিত দন্তকৌমুদী হাসি;
আমার অন্তরের অন্তঃপুরে
প্রোথিত বিশ্বাসের যে শ্বাসমূল
ইস্পাতদৃঢ় নবায়িত প্রত্যয় তার :
সুহাসিনীর এই অলোকস্পর্শী শুভদৃষ্টি
সুকোমল শুশ্রুষা হবে
যাবতীয় জাগতিক দুঃখযন্ত্রণার;
অধিকন্তু , স্বাভাবিক সারল্যের এই উদ্ভাসিত মুখভঙ্গি
জানি বীরদর্পে লড়াই করে যাবে আমৃত্যু–
মানুষে মানুষে আরোপিত বৈষম্য,
বহুজাতিক সংঘপুঁজির বাজারী বেসাতি,
একপাক্ষিক দেহলিপ্সা
আর ক্ষমতায়িত বলাৎকারের প্রবল প্রতিপক্ষ রূপে।