যাবতীয় সংহার আর অস্থিরতার ভেতর মধ্যম কণা তোমার আবিষ্কার।এই উত্তাল জোয়ার পেরিয়ে এতটাই নিরোগ থাকা আজ আর হয়না।আমাদের ঠিক মেপে চলা গন্তব্য আছে।গলার কাছে আটকে থাকা কাঁটার বেড়া আছে।ঘিরে ধরা অপটু চোখের ইশারা আছে।প্রত্যেকের ভেতরেই একটা সাময়িক জলমগ্ন জলাশয় আছে। গ্রীষ্মের খাদে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে পরিকল্পনা করা হয় নীচে নেমে পড়বার।এটা অবাঞ্ছিত জার্নি, ড্রিম সিকুয়েন্সে হেঁটে যাওয়া জার্নাল, যা প্রকাশিত অথচ পাঠকের আওতার বাইরে।স্মৃতি মেদুর ধোঁয়াশা ওঠা ট্যাক্সি।এই নুপূর খুলে রেখে দর্শক হাতছাড়া করার যে প্রয়াস তা মিছিমিছি গর্হিত অপরাধ বোধহয় কেউ কাউকে জানায়নি।
সবারই সংগ্রাম আছে, ইন্ট্র্যাকশন টু ইন্ট্র্যাকশন ক্যারি করে।আমাদের গোপন ঘরগাড়ি চাবাগানের ভেতর মিলিয়ে যায়।ছোটবেলায় এক আকাশ ঘুড়ি ওড়ানো মধ্যমেধার যে ভাবনা তার জন্য বরাদ্দ বড়জোর কিছু ঘন্টা! সব বরাদ্দের হিসেব আছে, মানুষ থেকে মানুষ জোয়ারে ভাসে ,ভাসমান চাবাগান, ভাসমান গোড়ালিতে একবার আটকে যাওয়া উচ্ছিষ্ট শুকনো ডাল লেগে গেলে কেটে যায় বিভেদরেখা।এই বিভাজন মনোসংযোগ নষ্ট করে।
মনে রাখবার জন্য কিছু সকাল আয়োজন করা হয় ,উড়ো খবর। এই সংবাদ শিরোনাম নিয়ে যখন কেউ এসে পড়ে ক্লিষ্ট উপহারের সাথে আমরা মিলিয়ে যাই ।মানুষ মাত্রই অজুহাত, তৃতীয় এই সংকল্প চলতে থাকে বৃত্তের ব্যাসার্ধ অনুযায়ী।তোমার অনাহারী ঠোঁটের জন্য সব।এই সংশ্লিষ্ট সমাধান আজ পর্যন্ত কর্মহীন পুরুষেরা করে উঠতে পারেনি।দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে ছাই গুনেছে।
সবারই অতিক্রম করবার সীমা আছে, রেখার বাইরে যে অতিকায় পোশাক, নির্ভরতা কাটিয়ে ডানা মেলে দেয়,তোমার এত পথ চলা হয়না।তোমার জানা হয়না কারা বাতিল হয়েছে।
এই তো সব উটকো নেশা, মগ্নতার আড়ালে দেখে নেওয়া কতটা ধৈর্য্য থাকলে গাছ হতে শেখা যায়, কতটা অপারগতা তৈরী হলে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারা যায়! গাছেদের ছেড়ে দিতে নেই, আজ শাখাপ্রশাখা উধাও হলে, আবার একদিন জেগে উঠবে উন্মুক্ত বাহু।
ছড়িয়ে দেবে মায়ার উপসংহার ।গাছেদের অভিধানে “একা” বলে কোনো শব্দ নেই…