সফেদ পাঞ্জাবী,শুভ্র চুলদাড়ি ,মুখের আদল
ঔরঙ্গজেবের মতো ,পথ-পার্শ্বে তার টালি-ছাওয়া
নীচু আটচালায় অষ্টপ্রহর জীর্ণ খাটিয়ায়
ব’সে ব’সে চিবোয় পান ,অনেক আসল নকল
গল্পের এলাচ দিয়ে চেলাদের মুখের ফেনায়
উচ্ছ্বল হাসির তুবড়ি ছিটিয়ে দ্যায় তোফা ।দাওয়া
খদ্দেরে জমজমাট সকাল বিকেল । গোটা পাঁচ
ধুমসো কুকুর নিশ্চিন্তে ঘুমোয় আনাচকানাচ ।
চৌদিক উন্মুক্ত চালাঘরে পিঠে পিঠে নম্বরের
ছাপ নিয়ে গরুগুলো ছিটেফোঁটা বিচালি চিবোয়
নির্বিকার, ভাগ্যহত, হপ্তার চালান । সকলের
দৃষ্টি কাড়ে হরিণের মতো পালিত খাসি দু’টোই ।
হুকুমের মাঝেমধ্যে গালাগাল ছুটে,নামাজের
পাঁচ ওয়াক্তে বুড়োর মুখে ফুটে আরবীর খই ।
খাটিয়ায় শুয়ে শুয়ে মধ্যযামে একা সে ঝিমোয়
ভাঙা ঘুমে,ছার মারে,বিড়বিড় ক’রে কথা বলে
আদর্শ ইয়ার খাসিদের সাথে ; চেলারা ঘুমোয়
নির্বিকার । ভোরেই আল্লার নামে উগ্র ছোরা তোলে
শক্তিশালী পশুর গলায় তার জল্লাদী মেজাজ
সব শুদ্ধ মায়ামমতার ঊর্দ্ধে । হিংস্র জাঁহাবাজ
জন্তুর চেয়েও মানুষরা নির্মম মাংস-ভুক ;
অন্তরালে অহিংসার তথাগত আশ্চর্য ভাবুক ।।