কুণাল রায়।
#দিবস
———–
#Copyright #Reserved
————————————–
গগনে ঘনীভূত মেঘরাশি,
জন্ম দেয় এক নৈরাশ্য,
আঁধার নেমেছে,
প্রতিবাদের ঝড় আকাশে বাতাসে,
ক্রোধ গগনচুম্বী,
উন্মুক্ত ছাতি,
এক ইচ্ছে,
মাতৃভাষার জন্য লড়াই,
রুধীরে বইছে যা!
সাহস অপরিসীম,
ভয় পুঙ্গ করে দেয় সবকিছু,
মৃত্যু এত নিকটে,
রক্তাত্ব জিহ্বা,
সর্বগ্রাসী আজ!
দিবস দেখেছে এক আলো,
ছায়া আবৃত যা,
অস্তিত্বের,
উদ্দেশ্যের,
নগ্ন কায়া!
গুলি ভেদ করে –
ছাতি তাঁদের,
রেখে যায় এক চিহ্ন!
যন্ত্রণার আর্তনাদ,
ভগ্ন করে শান্তি,
ছন্দ বিনষ্ট,
ছন্দ পতন অবশ্যম্ভাবী!
নিথর দেহ মাটিতে,
চিৎকার বিদীর্ণ করে এই ভূবন!
অগ্নিসম ক্রোধ জ্বালিয়ে পুড়িয়েছে,
চারিদিক!
ন্যায় বহুদূর,
নীরবে কাঁদে সে,
অট্টহাসি,
নিপীড়ন প্রশ্রয় দেয়,
এক মরণ নাচন!
সময় অতিবাহিত,
পাখির কলতান,
শীতলভাব,
মৃতদেহ –
এক শান্তি,
এক পরম শান্তি!
সূর্য হেলে পড়েছে,
পশ্চিমের নীল আকাশে।
দিনের সমাপ্তি,
নেই কোন শঙ্খধ্বনি,
নেই কোন বিজয় পতাকা,
নেই কোন গাম্ভীর্য,
এক রক্তস্নাত মুহূর্ত,
এক রক্তাক্ত সমরভূমি!
বছর ঘুরে যায়,
বিচ্ছিন্ন মেঘ খুঁজে পায় এক আনন্দ,
সৈকতে আঁচড়ে পড়ে ঢেউ,
মনে পড়ে তাঁদের,
মাল্যদান করা হয়েছিল যাঁদের,
পূজিত হয়েছিল যাঁরা,
এক ভালোবাসা,
এক আত্মবলিদান,
এক সম্মান!
আজ উল্লাস বাঁধনহীন,
শহরের আনাচে কানাচে,
অথবা দূরে কোন গ্রামে!
অনুষ্ঠান,
একত্রিত করে মোদের,
এক মুঠো আকাশের নীচে,
গাইবে গান,
যেমন গায় –
দেবতারা বা দেবদূতেরা,
মৃত্যুকালে,
অথবা হতাশায়!
মুহূর্ত ফিরে পেতে চাই গতকাল,
মুহূর্ত ফিরে পেতে চাই সেই চেতনা,
হারিয়ে গেছে যা একসময়-
দূরন্ত সাগরের কাছে,
নিস্তব্ধ প্রাঙ্গণের মাঝে,
চিরন্তন শূন্যতার স্পর্শে!!
-কুণাল রায়।