Alekh

২৮৪
রাত্রির পৃষ্ঠায় আঁকা যত রকমারি ক্ষত আর দাগ
সে মূলত গৈরিক, সূর্য-দেবতার ভেজা অনুরাগ।

২৮৫
প্রাচীন পাথর থেকে লিপি উদ্ধারের ছিলো পেলব প্রস্তুতি
খননের শুরুতেই কেনো গেয়ে ওঠো কামারের প্রিয় স্তুতি?

২৮৬
নদীরা লিখেছে, লিখে যায় পাহাড়ের দুঃখ অবিরল,
প্রেমিক বোঝে না কোন্ পাত্রে আছে সুরা, পাতার চিরল।

২৮৭
কাঠুরিয়া বনে বনে, ঝরা পাতা ডাল খোঁজে– ফিরে যায় ধ্বস্ত মনে
প্রেমিক মানুষ একা, কৃষ্ণের বাঁশির সুর কাঁপে গোপনে গোপনে।

২৮৮
বরফের প্রজ্বালন দেখার মোহন প্রতীক্ষায়– একাকী ছিলাম,
বিরতির সবটুকু ভার আজ খাঁজ কেটে কেটে বরফে দিলাম।

২৮৯
পাপের মধ্যে আমি একটি পাপ করতে চাই, পাপ
খাপ খুলে দাও; বরফ জমায় তাপের পরিমাপ।

২৯০
তুমি ঘাটে গেলে চাঁদও তো যায়, মৃদঙ্গ বাজে ঢেউয়ের কঙ্কণে
এক পা এগুলে বরফে সাজানো আগুনের ছিলা অনুপম রঞ্জনে

২৯১
আসিয়াছি কালো এক মহাদেশ ঘুরে–
বয়সের ফুলে শুরু শেষ নেই, বাতাসে চব্বিশ
মন দিয়া ভালো বাসিতে  না-পারো যদি
কাঁচুলি  বাঁধিয়া ঠোঁট ফুঁড়ে দিয়ো এইটুকু বিষ

By Alekh

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *