সুন্দরের কাছে দাঁড়াও যথাযথ , দ্যাখো , বরফের গলনাঙ্ক
দ্রুততর হচ্ছে কোনও পার্শ্ব বিক্রিয়া ছাড়াই। সমবর্তী দুটি
বিন্দু থেকে রশ্মির বিচ্ছুরণ পরস্পরমুখী। এই সান্নিধ্য কি
দৈব প্রণীত?
শব্দ কি অমৃত? শ্রুতি তো বেদ সংস্কৃতি। কবিতার উচ্চারণ
শ্লোকময়। প্রযত্নে বাল্মীকি। তুমি এই অকাল শ্রাবণে সেগুন
মঞ্জরী কিংবা কদম্বের নন্দিত রূপ। ভরা সরোবরে বৃষ্টিবতী
মেঘের অবিকল্প ছায়া।
শ্রমনের মতো কবি বেরিয়েছেন জনপদে। সমিধ সম্ভার নিয়ে
এই মাত্র দাঁড়ালেন অক্ষর রমণীর মুখোমুখি। কলস্বনা নদীর
মতো বয়ে যাচ্ছে কবিতার উচ্চারণ। কথা রমণী তুমি , তুমি
সংস্কৃতি। কবির আরাধ্যা।
নিবেদন কি চিত্ত নিবেদিত? কেন মনে হয় এই পর্যটন , এই
রূপদর্শন চিরন্তন সৌর ক্রিয়া। সৃষ্টি সংহিতা। অতলান্ত ঢেউ
নীল গ্রহে। কবি নামিয়েছেন সমিধভার। বেদ রমণীর কণ্ঠে
ধ্বনিত হলো সকালের সামগান।