১| কাঠিন্য
ক্রমশঃ হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়া সময়।
যেন সমুদ্র সৈকতে বালি।
এক অপসৃয়মাণ আলো তখন এসে পড়ে ডান চিবুক ঘেঁষে।
এক দুর্ভেদ্য দুর্গ ভাঙার মরিয়া চেষ্টা।
রক্ষী ও সেপাইরা ধীরে ধীরে কুপাকাত হয়ে যায়।
সময় তার হানাদারি চালিয়ে যায়।
কোন নির্ঘণ্ট না মেনেই।
হিরণ্য আলোর ছটা কোথাও না কোথাও এসে পড়ে।
সারিবদ্ধ হয়ে বসে থাকে এক এক ফালি চাঁদ।
আকৃতিতে যেন চিবুকের কাঠিন্য।
চাঁদের আলো ততক্ষণে দখলে নিয়েছে পুরনো সব আলো।
তবু খোঁজ চলে সেই হিরণ্য আলোর।
সব যেন আজ সময়ের কষাঘাতে মিলেমিশে একাকার।
২| সকাল
আমার সকালগুলো এখনো একই আছে
যেখানে সব দামী পোশাক খুলে রেখেছে ধু ধু মাঠ
মৃদু পূবালী হাওয়ায় বাধ্য ছেলের মতো-
মাথা দোলায় ধানের শিস
রোদ পায়ে পায়ে হাঁটছে আমার পিছুপিছু
কিছুতেই থামছে না পাখিদের কলতান
পৌরাণিক বিশ্বাস ছেড়ে জাগতিক কোলাহলে
মেতে উঠেছে গ্রাম্য নারী-পুরুষের দল
একে অপরকে ছুঁয়ে দেখছে
বিশ্বাস ও ভালবাসার মজবুত ভিত্তিতে
কপালে এঁকে দিচ্ছে চন্দনের আলপনা
তখনো অস্পৃশ্য নয় মুহূর্তগুলো
সময়ের মাপকাঠিতে উজ্জ্বল ও দীপ্তমান