Alekh

চোখ মেলে, আর প্রাণভরে ,দিগন্তরেখার দিকে তাকাও!
দেখতে পাবে ,আকাশটা মিশে গেছে
তোমার চেনা কোন প্রান্তে।
এবার মনে করো ,এটাই তোমার ছোট্ট পৃথিবী!
ভেবে দেখো সুখ-দুঃখ ,চাওয়া না পাওয়ার, সীমা আর নেই।
তুমি হয়ে উঠলে এই ছোট্ট পৃথিবীর মালিক।
তুমি বলবে ,’এই কবিতা তোমার লেখার তো কথা ছিল না’!
কারণ তুমি পিতৃহারা হতদরিদ্র এক বালক।
আমি বলবো, মায়ের ভালোবাসাই
আমার অনুভূতি গুলোকে অক্ষর রূপে ফুটিয়ে তোলে।
আর সেই শব্দই প্রতিধ্বনিত হয় বারংবার।
তুমি বলবে ,মেদিনীপুরের বিকালঙ্গ ছেলেটা
আজ মাধ্যমিক পাস করে গেল !
তার অর্থ,তার স্বপ্ন অনেক!
আমি বলব, তার দিগন্তরেখার পরিসর অনেক কম ।
তাই তার চোখ অল্প পরিসরের জ্ঞান আহরণের ক্লান্ত হয়।
তুমি বলবে, 32 বছর বয়সের এক যুবক
ছাত্র পড়িয়ে চাকরি না পেয়ে ব্যর্থ হল!
আমি বলব, তিনি সফল ।
সঙ্গে সঙ্গে তুমি জানতে চাইবে আমার যোগ্যতা!
উত্তর দেবো আমি মানবিকতায়
আজ বত্রিশটি প্রাণ ,তার চোখে ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন খোঁজে!
নিজ আবাসের চারটি প্রাণ আজ তার উপর ভরসা করে !
তুমি জানতে চাইবে দোষটা কি আমাদের?
আমি বলব ,তার দিগন্তরেখার পরিধি কম!
চায়ের টেবিলে বসে খবরের কাগজ এর বিষয়গুলি পড়েই
তুমি জানতে চাইবে ,আমরা কোন সমাজে বেঁচে আছি !
আমি শান্ত ভাবে উত্তর দেবো মানবসমাজে l
তুমি বলবে মানবিকতা কোথায় ?
আজ তো শুধুই পাশবিকতা!
আমি বলব মানবিকতা আমার দিগন্ত রেখায় ,
আমার ছোট্ট পৃথিবীতে।
তুমি বলবে খুকুকে একলা ছাড়তে খুব ভয় করে!
আমি অভয় দিয়ে তোমাকে বলবো ,
ছাড়ই না একলা ওকে বয়স তো অনেক হলো।
দিগন্তরেখা তৈরি করবে কবে ?
এসব শুনে তুমি ভাববে, আমার স্বপ্নগুলো কাল্পনিক।
কিংবা মানসিক অবসাদগ্রস্ত!
আমি বলবো, আমি ভালোবাসি আমার ছোট্ট পৃথিবী কে।।

By Alekh

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *